ঢাকা,সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

সর্বনাশা ইয়াবাই শেষ করছে তরুণ নেতৃত্বকে

উখিয়া প্রতিনিধি ::
তরুণ নেতৃত্ব আগামী দিনের সমাজ বিনির্মাণে ভুমিকা রাখবে। নেতাদের এমন বক্তব্য ভুল প্রমানিত হচ্ছে। কক্সবাজার জেলায় সর্বনাশা ইয়াবাই শেষ করে দিচ্ছে তরুণ নেতৃত্বকে। প্রতিদিন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা ইয়াবাসহ আটক হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বা বিরোধী দলের ছাত্র সংগঠনের কিছু নেতাকর্মীরা এখন করেন মরণ নেশা ইয়াবার কারবার। অনেকে হয়েছেন কোটিপতি। সমপ্রতি সময়ে কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র নেতা ইয়াবাসহ আটকের পর গত ২৩ এপ্রিল রোববার নারায়নগঞ্জ এলাকা থেকে ৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ উখিয়া উপজেলা ছাত্রদলের দুই শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ ইমরান খাঁন ও মোহাম্মদ আলম ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়। উখিয়ায় যুব সমাজের মাঝে ইয়াবা আসক্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিভিন্ন যুব সংগঠনের নেতা কর্মীরা ব্যবহার করছেন উন্নত মানের গাড়ি। কক্সবাজার টেকনাফ সড়কে চলাচল করছে ইয়াবা কারবারিদের যাত্রীবাহী বাসসহ হরেক রকম যানবাহন। কক্সবাজার টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলা ঘিরে গড়ে উঠেছে তাদের সিন্ডিকেট। সেখান থেকে চট্রগ্রাম দক্ষিণাঞ্চল ও ঢাকা হয়ে সারা দেশে ইয়াবা কারবার চালাচ্ছে চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। নেপথ্যে কলকাঠি নাড়েন তরুণ নেতাকর্মী ও তাদের লীড়াররা। ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ যদি হয় দেশের ভবিষ্যত তরুণ প্রজন্মের হাতে, তাহলে দেশ কোথায় গিয়ে ঠেকবে। এমতাবস্থায় এই প্রতিবেদক কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শাহ আলম চৌধুরী রাজা শাহ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইয়াবা পরিবার, সমাজ ও দেশকে ধ্বংস করছে। ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের নেতাকর্মী এমনকি জনপ্রতিনিধিরাইও এই মরণ নেশা ইয়াবা কারবারে জড়িয়ে পড়েছেন। যারা ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন, তাদের চিকিৎসা দরকার আর যারা ইয়াবার গড়ফাদার তাদেরকে চিহ্নিত করে শিগগিরই আইনের আওতায় আনতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। আমরা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জনগনকে সচেতন করতে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে উখিয়া টেকনাফের মানুষের কাছে আমাদের ম্যাসেস পাঠানো হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, প্রভাবশালী নেতাদের কারণেই মিয়ানমার সীমান্ত থেকে ইয়াবা ছড়িয়ে পড়ছে।

পাঠকের মতামত: